জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: সোনালী ব্যাংকের পাঁচ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের দুর্নীতির মামলায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবিরসহ নয়জনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
১৭ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক এমডি ও সিইও হুমায়ুন কবির, জিএম ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হোসেন খান, ডিএমডি মাইনুল হক, এক্সিকিউটিভ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, প্যারাগন প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মন্ডল ট্রেডার্সের মালিক মকুল হোসেন। রায়ে আদালত আসামিদের দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ১০ বছর এবং ৪২০ ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।
অন্যদিকে রায়ে সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম শেফ আলতাফ হোসেনকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ৫ বছর এবং ৪২০ ধারায় আরো তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া রায়ে আত্মসাৎ করা পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা ১০ আসামির কাছ থেকে সমহারে আদায় করে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় কারাগারে আটক থাকা ডিএমডি মাইনুল হক, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ ও এজিএম কামরুল হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে বাকি ৬ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে রমনা থানায় এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্যারাগন প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেড বরাবর মিথ্যা ও ভূয়া আমদানী রফতানী দেখিয়ে আইবিপি বাবদ ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা পরিশোধ না করে পরবর্তীতে সমন্বয় অন্তে আইবিপি ঋণ সৃষ্টি করে ৫ কোটি ১৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এভাবে আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় রমনা মডেল থানার মামলা করে দুদক।
এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে সেলিনা আখতার মনি মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে ৪৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
Leave a Reply