জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি মামলায় পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম আউয়াল এবং তার স্ত্রী জেলা মহিলা লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা পৃথক তিন মামলায় বৃহস্পতিবার চার্জ গঠন করেছেন বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ।
আদালতে দুই আসামির উপস্থিতিতে চার্জগঠন হয়েছে বলে জানান দুদকের আইনজীবী একে নূর উদ্দীন আহম্মেদ।
তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে খাস জমি অবৈধভাবে দখলের অভিযোগে দুদক তিনটি মামলা করে। ওই মামলা বর্তমানে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে রয়েছে। আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে চার্জ গঠন করেছেন। পরে মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেন। এর মাধ্যমে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে।
মামলার বরাতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা করেন। তিন মামলায় পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, একেএম আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীন নিজের নাম লায়লা ইরাদ উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ২৫ অগাস্ট নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি মৌজায় সরকারি ভিপি ৫ শতাংশ জমি ইজারা নেন। ইজারা নেয়ার আবেদনপত্রে লায়লা ইরাদের স্বাক্ষর ছিলো। ইজারার চুক্তি অনুযায়ী আধা-পাকা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও দ্বিতল ভবন করে একেএম আউয়াল ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের নামে অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল দুদক কর্মকর্তা আলী আকবর স্বামী-স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
একই কর্মকর্তার করা দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ আনা হয়, একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পিরোজপুর সদরে রাজার পুকুরের জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের পরিবর্তে লায়লা আউয়াল ৪৪ শতাংশ জমি উভয়ের নামে নেন। পরে পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলে নেন। একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই মামলার চার্জশিট জমা দেন।
তৃতীয় মামলায় অভিযোগ করা হয়, এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীন পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা সদরের ছোট বৈচাকাঠি মৌজার দশমিক শূন্য ৩ একর খাসজমি ভুয়া ব্যক্তিদের নামে বন্দোবস্ত দেখিয়ে ওই জমিতে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন। যা মাসিক ১৭ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
Leave a Reply