জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: প্রতি বছর তামাকের কারণে দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, তামাক থেকে যে রাজস্ব সরকার পায় তার থেকে বেশি ক্ষতি চিকিৎসা ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতেই হয়ে যায়। এজন্য যেকোনো মূল্যে ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে তামাক পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে।
রবিবার বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিংসহ মোট ৯টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে বর্তমানে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশই ঘটে অসংক্রমক রোগের কারণে। আর এই অসংক্রামক রোগের অন্যতম একটি বাহক হচ্ছে তামাকের ব্যবহার। তাই এই তামাক নিয়ে যারা কাজ করবে, আমরা তাদের সঙ্গে কোনো রকম সম্পর্ক রাখব না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অসংক্রামক রোগ, যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি রোগ ডায়াবেটিস, এবং শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে। বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদান রেখে জাতীয় সম্মাননা অর্জন করায় আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি খুব শিগগির সংসদে উপস্থাপন করা হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং এই ঘোষণার ফলে আমাদের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জন আরো সহজ হবে। আমরা শীঘ্রই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী সংসদে পাসের জন্য নিয়ে যাব। বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত এমপি একজন কার্ডিয়াক সার্জন এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পার্লামেন্টের ফোরাম তামাক নিয়ন্ত্রণে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছে। আমি বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
সম্মাননা প্রাপ্ত ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো হল:
‘সরকারি প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে খুলনা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটাগরিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও মো. আল আমিন রহমান, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটাগরিতে ঝিনাইদহ পৌরসভা, ‘বেসরকারি সংস্থা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং, ‘সাংবাদিক (প্রিন্ট মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে এহসানুল হক জসীম এবং ‘সাংবাদিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া)’ ক্যাটাগরিতে সুশান্ত সিনহা তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা-২০২৩ অর্জন করে।
Leave a Reply