জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা কোনো ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তবে নির্বাচনকালীন সরকারের কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবে চলবে। কোনো কাজ থেমে থাকবে না।
মঙ্গলবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক প্রথমবারের মতো আয়োজিত গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য ব্রাসেলস সফর বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের আরপিও অনুযায়ী নির্বাচন ডেট ডিক্লিয়ার হবে। তারপর থেকে কোনো মন্ত্রী ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে না। সুযোগ-সুবিধা পাবে না। কিন্তু সরকার থেমে থাকবে না, সরকারি ওয়ার্ক চলবে। আমি প্রার্থী হলে এখানে বসে কনফারেন্স করব না। আমি আলাদা অফিস করব।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে হাত আগুন দেয় তার হাতটাও আগুন দিয়েই পোড়ায়ে দেওয়া উচিত। তাহলেই তাদের শিক্ষা হবে, পোড়ানো মানুষের কষ্ট তারা বুঝতে পারবে। আমি আশাবাদী এগুলো তারা বন্ধ করবে, না হলে এর পরিণতি তাদের ভোগ করতে হবে।
‘এবার যারা আগুন সন্ত্রাস করছে কীভাবে এদের দ্রুত সাজা দিয়ে শিক্ষা দেওয়া উচিত। মানুষকে হত্যা করেছে এটা মানুষই বিচার করবে। বিএনপিকে জিজ্ঞেস করা উচিত এগুলো করে তাদের কতটা লাভ হচ্ছে। একজন ফ্রড তাদের অফিসে কথা বলে আর তাদের নেতারা বলে তারা জানে না৷ আসলে তাদের কোনো নেতাই নাই। যা আছে তারা সব মাইকবাজ।’
ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকে ভুয়া তথ্য প্রকাশ করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল আইন করে সমালোচনার পরে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন করে দিয়েছি। আমাদের নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। এটা সম্পন্ন হলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বিএনপির মহাসমাবেশের দিন শনিবার রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলার বিষয়ে সরকারপ্রধান বলেন, গাজায় ইসরায়েল যেমন হামলা করলো একই কায়দায় বিএনপি হাসপাতালে হামলা করলো। ইসরায়েল শিশু হত্যা করলো তারা পুলিশ হত্যা করলো।
এসময় পণ্য মজুতদারদের সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলুও আমরা আমদানি করব। সেজন্য দোকানে দোকানে যারা মজুদ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। মানুষের কষ্টটা যেন না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
Leave a Reply