1. admin@jn24news.com : admin :
  2. mail.bizindex@gmail.com : newsroom :
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ৫২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন

  • Update Time : রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
  • ১১০ Time View

জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চালু হতে যাওয়া নতুন ধারার ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছে দেশি-বিদেশি ৫২টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আছে বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস), রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, তথ্য প্রযুক্তি সেবাদানকারী, ওষুধ কোম্পানির মতো দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানগুলো লাইসেন্স পেতে কেউ এককভাবে আবেদন করেছে, আবার যৌথ উদ্যোগও আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক রবিবার এ তথ্য জানান।

মেজবাউল হক বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের ওয়েব পোর্টাল খোলা হয়। নির্ধারিত সময়ে ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। এটা আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী শর্ত মেনে যারা আবেদন করেছে এবং যেগুলো যোগ্য হবে তাদের লাইসেন্সের জন্য এলওআই (লেটার অব ইন্টেন্ট) দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বোর্ড।’

তিনি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ছিল। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের খোলা ওয়েবপোর্টালে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়।’

দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে একসঙ্গে এত বেশি আবেদন আর কখনো জমা পড়েনি।

নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনা ও লেনদেন আরও সহজ করতে সরকারের ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’ গড়ার উদ্যোগে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ ছাড়াই পুরোপুরি প্রযুক্তি নির্ভর চলবে ‘ডিজিটাল ব্যাংক’। থাকবে না সশরীরে লেনদেনের কোনো ব্যবস্থা।

এই ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য লাগবে ১২৫ কোটি টাকা, পরিচালক হতে লাগবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা। নতুন ধারার এ ব্যাংক চালু করতে আগ্রহীদের আবেদন নিতে নতুন ওয়েব পোর্টাল খোলে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে গত ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ‘ডিজিটাল ব্যাংক’ চালুর অনুমোদন দেয়। ১৫ জুন এ বিষয়ে নীতিমালা জারি করে। এরই ধারাবাহিকতায় ‘ডিজিটাল ব্যাংক’- এর জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দিতে গত ২১ জুন একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১ আগস্টের মধ্যে আগ্রহীদের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কেউ আবেদন না করায় ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়।

নীতিমালায় আরোও বলা হয়, ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের মূলধন সংরক্ষণ চুক্তি করতে হবে। কোনো ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়লে তা উদ্যোক্তাদের জোগান দিতে হবে। ঋণখেলাপি কেউ ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। এমনকি ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের কারও বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি সংক্রান্ত কোনো মামলা আদালতে চলমান থাকলে তারা আবেদন করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

প্রসঙ্গত, দেশের বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংক মিলে ডিজিটাল ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’। একসঙ্গে ১০ ব্যাংক মিলে এ ধরনের উদ্যোগ দেশে এখন পর্যন্ত এটিই প্রথম। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল), ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসিবি), মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও মিডল্যান্ড ব্যাংক।

রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক মিলেও ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায়। এগুলো হলো- সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews