অনলাইন ডেস্ক : টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতীয় আইনজীবী ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’কে ভারতের আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।
সারোওয়াত সিরাজ শুল্কা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেধাসত্ত্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বাংলাদেশের জিআই পণ্যের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার আইনজীবী ফার্ম ভারতে নিয়োগ করেছে। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি ভারতীয় ল ফার্ম বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতের মাটিতে লড়াই করবে। তারা রেকটিফিশনের জন্য, বাতিল করার জন্য আবেদন করবেন বলে জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট বিজয়।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সকল জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।
১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন টাঙ্গাইলের মেয়ে ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।
এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নয়, দাবি ভারতের’ এমন শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সরকারের। এ নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের বলে জানান। পরবর্তীতে ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply