জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: ওয়ার্ড অব ওয়ার্ক সামিট সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’—এ যোগ দিতে জেনেভায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেট।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে প্যালাইস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বারসেটের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতের পর সেখানে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে সুইজারল্যান্ডে বিশেষ করে মেডিকেল ও আইটি সেক্টর থেকে দক্ষ কর্মী রপ্তানির সুযোগ বাড়বে।
সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি জুর্গ লাউবার এবং সুফিউর রহমান নিজ নিজ দেশের পক্ষে ‘জ্ঞান বিনিময় ও দক্ষতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরেস্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর- দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান বিনিময়ের অংশীদারিত্বের পথ প্রশস্ত করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সুইজারল্যান্ডের কিছু বিশেষ প্রতিষ্ঠান-বিশেষত জুরিখে একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে, যেটি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ওপর কাজ করে এবং এই ইনস্টিটিউটটি সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করে। বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে-গবেষণা ও উদ্ভাবনে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য জুরিখের এই ইনস্টিটিউটের সাথে বাংলাদেশের নতুন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংযুক্ত করা।
দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে, কারণ তারা (সুইজারল্যান্ড) বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি- বিশেষ করে মেডিকেল ও আইটি খাত থেকে জনশক্তি আমদানি করতে চায়।
সেই লক্ষ্যে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অধীনে বাংলাদেশে প্রাথমিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেবে ও পরবর্তীতে এই দক্ষ জনশক্তি সেদেশে নিয়োগ দেবে।
এদিকে বিকালে প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’ এর প্লেনারিতে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছালে আইএলও’র এডিজি ও আঞ্চলিক পরিচালক তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। গেট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত লাল গালিচা বিছানো হবে এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গেও বৈঠক করবেন। পরে তিনি আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায় আইএলও এর সদর দফতরে উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জন্য ডিজি কর্তৃক আয়োজিত একটি নৈশভোজে যোগ দিবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে সকাল ১০টা ১৪ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
১৫ জুন বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) অফিসে ডাব্লিউইএফ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সাথে একটি বৈঠকের পরে ‘এ টক অ্যাট দ্য ডাব্লিউইএফ’-এ তাঁর যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সেখানে তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন।
সন্ধ্যায়, ডাব্লিউটিও মহাপরিচালক ড. ওকোনজো-আইওয়ালা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অবস্থানস্থলে সাক্ষাত করবেন। সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা ১৬ জুন সকাল ১১টায় (স্থানীয় সময়) ঢাকার উদ্দেশে জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। আগামী ১৭ জুন তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
Leave a Reply