জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক : শাহবাগ থানা হেফাজতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিতে পাঁচ দিন সময় বৃদ্ধির আবেদন করতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের কথা থাকলেও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও সময় প্রয়োজন দেখিয়ে এ আবেদন করা হবে।
একই দিন ডিএমপির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জেএন ২৪ নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানায়, রবিবার তদন্ত কমিটি গঠনের পর আজ মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও পাঁচ দিন সময় প্রয়োজন। এজন্য কমিশনারের কাছে কমিটির সদস্যরা আবেদন করবেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ডিএমপি কমিশনার স্যার চান এই ঘটনায় কার কী দায়িত্ব, কে কী করেছেন প্রত্যেকটা বিষয় বেরিয়ে আসুক। এই ঘটনায় যার সম্পৃক্ততা আছে তাকেই তদন্তের মধ্যে আনা হবে। এজন্য তদন্ত প্রতিবেদন ভুলক্রুটি মুক্ত করতে সময়ের প্রয়োজন। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এজন্য পাঁচ দিন আরও সময় প্রয়োজন। কমিটির সদস্যরা দিনরাত কাজ করছেন। তাড়াহুড়ো করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে, কিন্তু সেটা সুষ্ঠু হবে না। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন প্রস্তুতের জন্য সব লেখালেখির ব্যাপার আছে। এজন্য সময় প্রয়োজন হয়।
গেল শনিবার রাতে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে থানায় ধরে এনে নির্যাতন করেন তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশীদ। পুলিশের বুট ও অস্ত্রের বাঁটের আঘাতে আনোয়ার হোসেন নাঈমের পাঁচটি দাঁত উপড়ে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে রবিবার এডিসি হারুনকে রমনা জোন থেকে পিওএম উত্তর বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ সদরদপ্তর তাকে এপিবিএনে বদলি করে। সোমবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হারুন অর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগ নেতাকে দেখতে যান ডিএমপি কমিশনার। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারা দোষী তা বলা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে দুইজন অফিসারকে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে।
Leave a Reply