জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ৩ জন স্কুলছাত্রী একসঙ্গে নিখোঁজের ১০ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করল জীবননগর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাঝরী-বেগমপুর গ্রামে বাবুল মিয়ার ছেলে মোহন মিয়ার বাড়ি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ যুবককে আটক করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৩ মে) সকাল ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলার কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জামিলা খাতুন (১৩), ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন (১২) ও একই শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম খাতুন (১২)। বিদ্যালয় ছুটির সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা বাড়িতে না ফেরায় তাদের বাড়ির লোকজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় ৩ জন স্কুলছাত্রীর একসঙ্গে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগসহ গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়। পরবর্তীতে তাদের অভিভাবকরা জীবননগর থানায় কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর নিখোঁজ হওয়া ৩ স্কুলছাত্রীদের দ্রুত উদ্ধারের জন্য চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার এবং সহকারী পুলিশ সুপারকে (দামুড়হুদা সার্কেল) অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাদের সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে নিখোঁজ হওয়া স্কুল পড়ুয়া ৩ জন ছাত্রীকে বৃহস্পতিবার আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে জেলার দর্শনা থানার অন্তর্ভুক্ত ঝাঝরী-বেগমপুর গ্রামে বাবুল মিয়ার ছেলে মোহন মিয়ার বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আব্দুল মনিনের ছেলে শিহাব (১৮), একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নাঈম (১৯), ঝাঁঝরি গ্রামের কালাম হোসেনের ছেলে লিখন হোসেন (১৬) ও একই এলাকার ভাসান আলীর ছেলে ইয়াসিন হোসেনকে (১৮) আটক করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ওই ৩ জন স্কুলছাত্রীদের ফুঁসলিয়ে কৌশলে অপহরণ করে বৃহস্পতিবার সকালে তারা ঢাকায় নিয়ে অজানা-অচেনা জায়গায় গোপনে অবস্থান করবে যাতে আত্মীয়স্বজন কিংবা পুলিশ তাদের কোনো সন্ধান না পায়। এদের মধ্যে স্থানীয় সাক্ষ্য প্রমাণে সাকিব একজন লম্পট, চরিত্রহীন প্রকৃতির এবং সে ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে করে। আটকদের অসৎ ও অনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের আগেই জীবননগর থানা পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কৌশলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply