জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুই তরুণীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতরা হলেন আয়শা সিদ্দিকা কথা, সীমা ও তারিকুল ইসলাম। রবিবার বিকালে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভীন জানান, রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও পূর্ব গোড়ান ৯ নম্বর রোডের একটি টিনসেড বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আয়শার লাশ।
মৃত আয়েশা সিদ্দিকা কথার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানায়। তিনি স্বামী গাড়িচালক ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে গোড়ানের ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্বামী দাবি করেছেন, প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া তার কাছে এক হাজার টাকা পাবেন। ওই টাকার জন্য দুপুরে প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া হয় আয়শার। পাওনাদারের টাকা পরিশোধ না করায় একপর্যায়ে আয়শা বাসায় আবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে। পরবর্তীতে রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেন আয়শা। খবর পেয়ে ওই বাসার দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে খিলগাঁওয়ে সীমা নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা জানান, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে লিমা নামে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণী এক বছর আগে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চার পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশে আসেন। থাকতেন খিলগাঁও নন্দীপাড়ায়। শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এ কারণে তার পরিবার গত ২৭ মে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখান দুই দিন ভর্তি থাকার পর কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
মনির হোসেন আরও জানান, শনিবার সন্ধ্যায় নন্দীপাড়া এলাকায় লিমা পথচারীদের বলেন তিনি খুব অসুস্থ অনুভব করছেন। পরে পথচারীরা তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে মারা যান তিনি।
মৃত সীমার বাবার নাম নুর ইসলাম। সীমা মাদকাসক্ত ছিলেন। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকা থেকে তারিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত তারিকুল ইসলাম মেরাদিয়া বনশ্রী রোড ৭/এ ব্লক এইচ বাড়ি নম্বর ১০ ওই বাসায় বসবাস করতেন। তার বাবার নাম আহসান উল্লাহ।
পরিবারের বরাত দিয়ে খিলগাঁও থানা পুলিশ জানায়, তারিকুল অনেক আগেই এমবিএ শেষ করেছে। চাকরি খুঁজছিল, পাশাপাশি নানা কারণে হতাশায় ভুগছিল। এসব কারণে সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে।
রবিবার দুপুরের দিকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারিকুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply