জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার নিঃস্ব সরকারের মতো বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। সবাই সরকারের কাছে টাকা পায়, কিন্তু সরকার কাউকেই টাকা দিতে পারে না। এর ফলে আগামীতে জনগণ নানান সংকটের সম্মুখীন হবেন। ’
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শামসুজ্জামান দুদুসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন মান্না।
মান্না বলেন, ‘এই সরকার খুনি, ডাকাত, লুটেরা। মানুষের রক্ত খেয়ে তারা নিজেদের বাঁচানো ব্যবস্থা করছে। সব ধান্দাবাজ দিয়ে মন্ত্রী, এমপি বানায়। কোনো জিনিসের দাম কমেনি। সবাই সরকারের কাছে টাকা পায়, কাউকে টাকা দিতে পারে না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘বিদ্যুতের টাকা দিতে পারো না, আদানি, সানেম টাকা পায়, টাকা দিতে পারো না। এই সরকার নিঃস্ব সরকারের মতো। নেট ঠিকমতো চলে না। কারণ যারা নেট সার্ভিস দেয় তাদের টাকা সরকার পুরোটা দিতে পারেনি। টাকা দিতে না পারলে দেশে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন অবস্থা।’
এই সরকার দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার এত দুর্নীতি, এত অন্যায়, এত জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে যে আপনাদের নামে মামলা দিলে সেই মামলার নিষ্পত্তি করতে করতে সরকারের পাঁচ বছরের সময় শেষ হয়ে যাবে তবু আপনাদের মামলা শেষ হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে মান্না বলেন, আরেকজন আছে আওয়ামী লীগের, ডানা ঝাপটায়, কা কা করে। তিনি বলেছেন, আমরা চীনকে অনুরোধ করেছি মিয়ানমারের ব্যাপারে সামাল দিতে। তারমানে বাংলাদেশ নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে মান্না বলেন, গত নির্বাচনের সময় এই প্রধানমন্ত্রী সংলাপে ডেকেছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, সবার নামে মামলা আমরা কিভাবে নির্বাচন করবো? প্রধানমন্ত্রী বললেন, কতজন? মির্জা ফখরুল এত বড় লিস্ট নিয়ে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমি কালকের মধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত বছর হয়ে গেলে কোন ব্যবস্থা হয়নি। উলটো নেতাকর্মীদের নামে নতুন নতুন গায়েবি মামলা।
বিএনপির নেতাকর্মীর নেতাকর্মীরা অসহনীয় জীবন কাটাচ্ছেন উল্লেখ করে মান্না বলেন, গত দেড় মাসের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী একটা দলের জেলে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি এতো বড় নির্যাতন, অত্যাচারের মধ্যেও তারা দাঁড়িয়ে আছে। তাদের নেতাকর্মীরা ধানের ক্ষেতে মশারি টানিয়ে ঘুমাচ্ছেন।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা বারবার বলেছিলাম আমাদের দেশের সামাজিক কাঠামো, রাষ্ট্রীয় কাঠামো আমাদের দেশের পরিবেশে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই অনতিবিলম্বে রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের বিল পাস করুন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।
নুরুল হক নুর বলেন, যারা গায়ের জোরে ক্ষমতা ধরে রেখেছে তাদের জনভিত্তি নাই। সেটা এই নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত। র্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনী সমস্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে টাকা পয়সার ছড়াছড়ি। ভারতীয় মন্ত্রী, এই দেশের অ্যাম্বাসেডর সমস্ত ভারতীয় দালালরা তাদের (আওয়ামী লীগ) প্রচার প্রচারণা চালিয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে তারা ১০ শতাংশ ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে নিতে পারেনি। মানুষ এখন তাদেরকে ‘ফাইভ পার্সেন্ট’ সরকার বলে।’
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কাজী (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, ঢাকা বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ
Leave a Reply