জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ভীতু আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় তারা কাওয়ার্ড (কাপুরুষ) সরকার। এজন্যই তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা জনগণকে দাঁড়াতে দেয়না। কথা বলতে দেয় না। আজকে দেশকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে এই সরকার।
শনিবার রাজধানীর লেডিজ ক্লাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদের, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মোস্তাফা-ই-জামান সেলিম (সিআইপি), প্রকৌশলী আব্দুল সোবহান, ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমদ, আব্দুল হাই শিকদার, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্য সেলিম ভুঁইয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে (শনিবার) দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের মূল্য প্রতিরোধ ও সরকারের পদত্যাগ সহ দশ দফা দাবিতে সারাদেশে আমাদের উপজেলা ও থানা পর্যায়ে অবস্থান কর্মসূচি ছিল। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় কর্মসূচি করতে দেয়নি। ইতিমধ্যেই ঢাকায় ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। যশোরের শার্শায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালিয়েছে। নেত্রকোনায় হামলা করেছে। এভাবে দেশের অন্য জায়গায় হামলা করেছে।
তিনি প্রকৌশলী ও পেশাজীবীদের উদ্দেশে বলেন, সুতরাং আর বসে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের ১৭ জনকে তারা খুন করেছে। হাজার হাজার লোককে তারা গ্রেপ্তার করেছে। আজকে কেউ ভালো নেই। জেগে উঠতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার ভাষণে বলেছেন গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন কখনো সার্বজনীন হতে পারেনা। অথচ এই কথা আমরা বহুকাল ধরে বলে আসছি। তার দল আওয়ামী লীগই তো এই গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশ ফোকলা করে দিয়েছে।
আসুন আমরা একটি মুক্ত ও সতসত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা এমন একটা দেশে বাস করছি যেখানে কথা বলার স্বাধীনতা নেই। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। আজকে বাংলাদেশে মুসলমানরা ইফতারও শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারে না। আসলে দেশে গণতন্ত্র না থাকলে যা হয় সেটাই বাংলাদেশে হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো গণতন্ত্রের জন্য। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এই প্রশ্ন নতুন প্রজন্মকে করতে হবে।
তিনি বলেন, শহরে ফ্লাইওভার, এক্সপ্রেসওয়ে আর মেট্রোরেল নির্মাণের নামে হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা বিএনপি বিশ্বাস করে না। বিএনপি সত্যিকার গণমানুষের উন্নয়নে বিশ্বাসী।
ইফতার মাহফিলে পেশাজীবীদের মধ্যে সাংবাদিক ইলিয়াস খান, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. মেহেদী হাসান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, আমিরুল ইসলাম কাগজী, শাহজাহান সাজু, মাজহারুল পারভেজ,এ্যাব নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, প্রকৌশলী মো. হানিফ, প্রকৌশলী রিয়াজ উদ্দিন ভুইয়া, প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আইয়ুব হোসেন মুকুল, আসিফ হোসেন রচিসহ অ্যাবের প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply