জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর কলাবাগানে গৃহকর্মী হত্যার ঘটনায় জড়িত সাথী আক্তার পারভীন (ডলি)-কে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন সাবেক স্বামী। স্থানীয়দের সহায়তায় শুক্রবার দুপুরে সাথীকে যশোর কোতোয়ালী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
একইদিন বিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জেএন ২৪ নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছে, ২৬ আগস্ট শনিবার কলাবাগান সেন্ট্রাল রোডে শিশু গৃহকর্মী হেনাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি সাথী আক্তার শুক্রবার তার প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে যশোর শহরের চেম্বারে উপস্থিত হন। এসময় কৌশলে সাথীকে চেম্বারে আটকানো হয়। এরপর উপস্থিত লোকের সহায়তায় যশোর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ই-১ এ বাসিন্দা সাথী আক্তার পারভীন তার শিশু সন্তান আর ওই গৃহকর্মী হেনাকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত তিন বছর ধরে নিহত গৃহকর্মী হেনা ওই বাসায় কাজ করছিল।
ডিএমপির কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জেএন ২৪ নিউজকে বলেন, শুনেছি তাকে আটক করা হয়েছে। আমাদের একটি টিম সেখানে গেছে। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।
যশোর কোতোয়ালী থানার ডিউটি অফিসার জানান, ডিএমপির একটি টিম আসছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর আমাদেরকে অবহিত করা হবে। এখনো বিস্তারিত জানতে পারিনি।
যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি মনিরুজ্জামান জেএন ২৪ নিউজকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। পরে কথা বলব।
কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ওই বাসায় প্রায়ই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হতো বলে ধারণা পুলিশের। ২৫ আগস্ট সকালেও হেনাকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর রান্নার সবকিছু আর মোবাইল ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান গৃহকত্রী সাথী।
তখন কলাবাগান থানা পুলিশ দাবি করে, ঘটনার দিন রাতে অজ্ঞাত ফোনে গৃহকর্মী মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কয়েকটি বাসায় খোঁজ নেয় পুলিশ। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেওয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ।
পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি মালিক সোসাইটির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে ভেতর থেকে অজ্ঞাত গৃহকর্মী হেনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আনুমানিক ২৪ ঘন্টা পর শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহালে পুলিশ দেখতে পায়, শরীরে অনেক নতুন ও পুরাতন আঘাতের চিহ্ন। মুখে ফেনা, শরীর ফোলা।
নিয়ম অনুযায়ী, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর গৃহকর্মী হেনার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
Leave a Reply