জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো বক্তব্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
তিনি বলেন, ‘সরকার আইন করে নির্বাচন কমিশনকে এনআইডি দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিল। এখন সেই আইন সংশোধন করে রাষ্ট্র আবার অন্য কাউকে দায়িত্ব দিচ্ছে। এতে নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার নেই।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলে ইসি সচিব।
ইসি সচিব বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব আছে। যার ভেতরে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ছিল না। আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে বলা আছে রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করবে।’
‘ওই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা হয়েছে। তার উপজাত হিসেবে প্রায় ৮ কোটি তিন লাখ ভোটারের তথ্য সমৃদ্ধ ভোটার তালিকা থেকে আইন করে এনআইডি দেওয়া শুরু হয়। সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে।’
এনআইডি কার্যক্রমের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণ নির্বাচন কমিশন পালন করবে। রাষ্ট্র যখন এই দায়িত্বটা অন্য কাউকে সম্পাদন করতে বলবে তারা সেটি সম্পাদন করবে। এখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু নাই। নির্বাচন কমিশন সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চলবে।’
সোমবার নির্বাচন কমিশনের অধীন থেকে এনআইডি কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এখতিয়ার দিয়ে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাংগীর বলেন, ‘আইনটি আমরা এখনো দেখিনি। গতকাল চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় সংসদে যাবে, বিল হিসেবে উত্থাপিত হবে। এরপর সেটি সংসদীয় কমিটিতে যাবে। তাদের রিপোর্টের পর পুনরায় সংসদে উঠবে। সংসদে আইন আকারে পাশ হলেই আমরা আসলে বলতে পারবো, আসলে কী হয়েছে।’
‘এখন দুই ধরণের আইন হয়। একটায় বলা থাকে অনতিবিলম্বে কার্যকর হয়। অন্যটি গেজেট প্রজ্ঞাপনে তারিখ থেকে বলবৎ হয়। সেক্ষেত্রে এই আইনে কী আছে আমরা যেহেতু জানি না…কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ বলতে পারবে।’
Leave a Reply