জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরার পাশাপাশি কূটনীতিকদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্রিফিং-এ কূটনীতিকরা কতটুকু সন্তুষ্ট সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ‘এটা তো তাদেরকে দেখে মন্তব্য করা সম্ভব না। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে যে— কোনো ঘাটতি নেই তা স্পষ্ট করা হয়েছে। এতে তারা আশ্বস্ত হয়েছে কি না সেটা তারা বলতে পারবেন।’
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত নির্বাচন কমিশনের ব্রিফিং-এ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন। এই ব্রিফিং এ কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনিও বক্তব্য রেখেছেন। এসময় ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গেলেই নির্বাচন সফল হবে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব।
প্রায় ৫৪টি বিদেশি মিশনের প্রতিনিধি ইসির এই ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অল্প সময়ের এই আমন্ত্রণে বেশিরভাগ কূটনীতিকরা অংশ নিয়েছেন।
মাসুদ বিন মোমেন আরও বলেন, ‘ব্রিফিং চলাকালে তারা প্রশ্ন করেছেন যে, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং এটা ঠিক কি না, তবে সিইসি ব্যাখ্যা করেছেন অন্তত ইসির পক্ষ থেকে কোনো চাপ অবশ্যই দেয়া হচ্ছে না। বরং যারা লিফলেট বিলি করছে তারাই ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন, চাপ দিচ্ছে।’
সহিংসতার খবর যা এসেছে তা রোধ করার ক্ষেত্রে ইসির পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কোন কোন দেশ বা মিশন প্রতিনিধি এই চাপ বা সহিংসতার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গোপণীয়তার স্বার্থে তা উল্লেখ করা উচিত হবে না।’
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা খবরের কাগজ পড়েন, যা দেখেন তাই প্রশ্ন করেছেন। আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি।’
পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ‘যেহেতু ওনারা (কূটনীতিক) বিভিন্ন সময় ইসির সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তাই ওনারা অনেক বিষয়েই ওয়াকিবহাল আছেন। তাই হয়তো খুব বেশি প্রশ্ন করেননি।’
একটি দেশে ৫ বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তাই এরকম সুযোগ সবসময় সব দেশের রাষ্ট্রদুতদের হয় না বলেও কূটনীতিকদের জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব।
আমন্ত্রিত বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আপ্যায়নে সরকারি খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে জানান, এটা তেমন বিষয় না। পৃথিবীর সব দেশেই পর্যবেক্ষকদের লোকাল হসপিটালিটি দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার যারা এসেছেন; যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ বা অন্যান্য যারা, তারা তাদের খরচপাতি নিয়েই এসেছেন।
একইসঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যাতায়াত করবেন, এতে উভয় পক্ষেই সুরক্ষা বোধ করবেন।
তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত ৬০ জন পর্যবেক্ষক ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাকিরা পর্যায়ক্রমে ৭ জানুয়ারির মধ্যে আসবেন। এছাড়া ৭৩ জন বিদেশি সাংবাদিক অ্যাক্রিডিটেশান পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরের শেষে ইসির অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিদেশি মিশনগুলোকে এই ব্রিফিং এ অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ঢাকার বাইরে যেখানে বিমান যোগাযোগ রয়েছে যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চল সেসব জায়গায় ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে উৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মাসুদ বিন মোমেন।
সুত্র: ঢাকাটাইমস ২৪
Leave a Reply