জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপ্লবী গার্ডের দুই ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ সাতজন নিহত হন। এর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। ধারণা করা হচ্ছে দেশটি সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েল থেকে দূরে থাকতে বলছে ইবরাহিম রায়িসির সরকার।
এরই মধ্যে সিএনএন রিপোর্ট করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকায় উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে অথবা ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো টার্গেটে যদি ইরান হামলা চালায় তাহলে তার উল্লেখযোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরান তাদেরকে যে বার্তা দিয়েছে তারা যেন এ বিষয়ে না জড়ায়। তাহলেই নিরাপদ থাকবে। এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান বলেছে, সিরিয়ায় কন্স্যুলেটে হামলায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত তারা। অন্যদিকে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলকে যুদ্ধে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
চিঠি লিখে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে ইরান। ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি এক্সে লিখেছেন, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেন সতর্ক থাকে। তিনি লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে এ অবস্থান থেকে সরে যাওয়া, যাতে তারা আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। জামশিদি আরও বলেন, এর জবাবে মার্কিন টার্গেটে হামলা না করতে ইরানের প্রতি অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
অজ্ঞাত দুজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে এনবিসি বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উদ্বিগ্ন এ নিয়ে যে, যেকোনো হামলা হতে পারে ইসরাইলের ভেতরে। বিশেষ করে বেসামরিক এলাকা বা লোকজনকে বাদ দিয়ে এই হামলা হতে পারে ইসরাইলের সেনাবাহিনী অথবা গোয়েন্দা টার্গেটে। ওদিকে ইরানের সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করেছে বাইডেন প্রশাসন। তারা জানানোর চেষ্টা করেছে যে, সোমবার দামেস্কে ইরানের কন্স্যুলেটে যে হামলা হয়েছে সে বিষয়ে অবহিত ছিল না যুক্তরাষ্ট্র। এ থেকে এটাই বোঝা যায় যে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের বাহিনী এবং ঘাঁটিগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ইসরাইলের মুখে চপেটাঘাত করবেই। কিন্তু এখনো পরিষ্কার নয় যে, আসলে কী ঘটবে অথবা ইসরাইলে সরাসরি কোনো হামলা করবে কি না। ওই হামলার পর সতর্ক অবস্থায় আছে ইসরাইল।
এদিকে হামলার আশঙ্কায় ইসরাইলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে প্রতিরক্ষা বিভাগের যোদ্ধা (কমব্যাট) ইউনিটগুলোর সব রকম ছুটি। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জিপিএস। এক কথায় ইসরাইল-ইরান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। কারণ, এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে।
Leave a Reply