জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের প্রধান সংকট হলো গণতন্ত্র না থাকা। এই সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ১০ বছরে এক দলীয় শাসন কায়েম করেছে। আবারও তারা ভোট চুরির নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। আমরা দেখেছি বিশেষ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এটা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা পরিষ্কার করে বলেছি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। যেন সেই নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারে এবং প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে। এ কথাগুলো আমাদের দলের পক্ষ থেকে খুব পরিষ্কার করে বলা হয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূক্তভাবে হত্যা করা হয়েছে। ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৪০ লাখ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একটি ভয়াবহ অবস্থা, ভিন্নমত পোষণ করার কোন সুযোগ নেই। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সে কারণে আমাদের দলের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে যারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। সেই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো আজকে এক সঙ্গে হয়ে যুগপৎ আন্দোলন করছি। আমাদের লক্ষ্য একটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই। এখানে বিএনপিকে ক্ষমতা নিতে চাই এ কথাটি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে মানুষের অধিকারকে আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যে স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম জনগণের সামনে।
দেশে ভয়াবহ এক পরিস্থিতি চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই বিএনপির লক্ষ্য।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, শায়রুল কবির খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply