জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে রাখার জন্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বুঝতে পেরে তারা ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। আন্দোলন দমাতে এক যুগ আগের কাল্পনিক মামলায় নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য, তাদের আন্দোলন থেকে দূরে রাখা।
বুধবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জোন-৭ এবং ৮-এর সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাম বলেন, আর কতজনকে জেলে নেবেন। এই অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে আর কত হত্যা করবেন। আমরা তো শহীদ হতে প্রস্তুত। তবুও এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা পিছপা হব না। দেয়ালে মানুষের পিঠ ঠেকে গেছে। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন-বিএনপির আলোচানার সুযোগ নেই। আরে কীসের আলোচনা? গণতন্ত্র হত্যাকারী এবং লুটেরা আওয়ামী লীগের সাথে কীসের আলোচনা? দেশনেত্রীকে মুক্তি দেন, মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের কাছে সব অপকর্মের জন্য ক্ষমা চান। তখন আমরা ভেবে দেখব আপনাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব কিনা।
সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনগণের রাজনীতি করে। আর আওয়ামী লীগ লুটের রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগ আগুন সন্ত্রাস করে আর বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে। তাই বিএনপি সবসময় সামনের দরজা দিয়ে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে। আর আওয়ামী লীগ কখনও স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে না। ষড়যন্ত্র করে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে দেশে বাকশালি শাসন কায়েম করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জোন-৭ এর সমন্বয়ক আনম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, জোন-৭ এর সমন্বয়ক আব্দুস সাত্তার, মহানগর নেতা মো. ফরহাদ হোসেন, আকবর হোসেন নান্টু, জুম্মন মিয়া, জামশেদুল আলম শ্যামল, আব্দুল হাই পল্লবসহ যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শ্যামপুর, কদমতলী থানার নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply