অনলাইন ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ নয়জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
বুধবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিম ও তার ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানা ও গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ।
এদিন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর জন্য আবেদন করেন সংশ্লিষ্ট থানার তদন্ত কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকী গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর আদাবর থানার হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি হাজী সেলিম ও কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে গ্রেফতার দেখানো হয়। নিউমার্কেট থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় জুনাইদ আহমেদ পলক ও ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এছাড়াও কোতোয়ালি থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিমকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গুলশান থানার হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়। হাতিরঝিল থানার হত্যা মামলায় গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রউফকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
Leave a Reply