জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এ সাজা পেলেন তিনি।
অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করার দায়ে একই মামলায় মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগনে মাহমুদুল হাসান ও ভাই মাহবুবুর রহমানকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মনজুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় চার্জশিটভূক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
মামলাটি দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল আর আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী পরিচালনা করেন।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে মিজানুর রহমান ও তার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান কারাগার রয়েছেন। অপর দুই আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর আত্মগোপনে থাকা ডিআইজি মিজান ২০১৯ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ হয় এবং তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গত ২ জুলাই আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান ৪ জুলাই একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঘুষ লেনদেনের মামলায় মিজানুর রহমানের ৩ বছর এবং দুদকের বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।
Leave a Reply