জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: অবশেষে দলের ক্ষমা পেলেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম। তাকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে জাহাঙ্গীরকে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার জন্য ইতোপূর্বে আপনাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমাপ্রার্থীদের প্রতি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই সূত্রে আপনার প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ঘরোয়া আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। হারাতে হয় মেয়র পদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি গাজীপুর মহানগর শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করে জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেবারও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল।
গত ২৫ মে অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে চেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর। তবে মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় তিনি নির্বাচন করতে পারেননি। জাহাঙ্গীরের মা স্বতন্ত্র পার্থী জায়েদা খাতুন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। বর্তমানে জাহাঙ্গীর গাজীপুর সিটির মেয়রের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরও গাজীপুরবাসীর কাছে তার জনপ্রিয়তা ভাটা পড়েনি। পদপদবী হারানো জাহাঙ্গীর দলীয় সিগন্যাল পেলে গাজীপুর থেকে হাজার মানুষ নিয়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দিয়ে চমক দেখাতেন।
সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর রাজধানীর কাওলায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে গাজীপুর থেকে ৫০ হাজার লোকজন নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এই সমাবেশে যোগদানের মধ্যে দিয়ে গাজীপুর আওয়ামী লীগে তার কতটা প্রয়োজনীয়তা তা প্রমাণ করে দিয়েছেন গাজীপুরের সাবেক মেয়র।
Leave a Reply