জেএন ২৪ নিউজ ডেস্ক: নিবন্ধিত অনলাইন নিউজপোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বলেন, প্রতি বছর অনলাইন নিউজপোর্টালের নবায়ন বাদ দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার নিবন্ধিত অনলাইন গণমাধ্যম মালিকদের সংগঠন অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, গণমাধ্যম এতোটা উন্মুক্ত যে, নিবন্ধনের বাইরেও অনেক অনলাইন গণমাধ্যম কাজ করছে। গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বা নজরদারির প্রশ্নই আসে না। তবে শৃঙ্খলার মধ্যে আনার বিষয় আছে। সেটা আমরা চেষ্টা করছি।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা প্রয়োজন আছে। কিন্তু অপতথ্য সাংবাদিকতাকে নষ্ট করে। নিবন্ধিত অনলাইনের বাইরে অনিবন্ধিত এবং অবৈধ অনলাইন নিউজপোর্টাল বন্ধের দাবি উঠেছে। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পদক্ষেপ নেব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনো ভুল-ত্রুটি থাকলে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। তবে অপপ্রচারের লক্ষ্যে অসত্য তথ্য দিয়ে খবর প্রচার করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য সরকারি বিজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে আপনারা সুখবর পাবেন। প্রয়োজনে ওনাব নেতৃবৃন্দকে এ সংক্রান্ত কমিটিতে নেওয়া হতে পারে। সংবাদপত্রের সার্কুলেশন জানার আধুনিক প্রযুক্তি তেমন না থাকলেও এক নিমিষেই অনলাইন নিউজপোর্টালের পাঠক সংখ্যা জানা সম্ভব। তাই অনলাইন গণমাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজটি অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে করা যাবে।

এ সময় ওনাব নেতারা আসন্ন বাজেটের আগেই সরকারি বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। জবাবে অতি দ্রুত বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওনাব)-এর সভাপতি মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ওনাবের সহসভাপতি লতিফুল বারী হামিম ও সৌমিত্র দেব, যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও আশরাফুল কবির আসিফ, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম মিঠু, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল বাসার, হামিদ মো. জসিম, মহসিন হোসেন, অয়ন আহমেদ ও খোকন কুমার রায় বক্তব্য দেন।